একটা দীর্ঘ কবিতা, একটা দীর্ঘ ভাঙন, একটা দীর্ঘ নির্মাণ, একটা জাতির ইতিহাস, একজন মানুষ, একজন উত্তরাধিকার, একজন পূর্বপুরুষের গল্প, অথবা একটি কবিতাই রচনা করেছেন সাকিরা পারভীন। এই রচনা, এই কাব্যগাথা কোনো স্তুতি নয়, এটি কোনো রাজনৈতিক অভিভাষণ নয়, এই কাব্যগাথা একটি আত্মনিবেদন কিংবা প্রার্থনার মতো কিংবা প্রেমের মতো।
একটা দীর্ঘ কবিতা, একটা দীর্ঘ ভাঙন, একটা দীর্ঘ নির্মাণ, একটা জাতির ইতিহাস, একজন মানুষ, একজন উত্তরাধিকার, একজন পূর্বপুরুষের গল্প, অথবা একটি কবিতাই রচনা করেছেন সাকিরা পারভীন। এই রচনা, এই কাব্যগাথা কোনো স্তুতি নয়, এটি কোনো রাজনৈতিক অভিভাষণ নয়, এই কাব্যগাথা একটি আত্মনিবেদন কিংবা প্রার্থনার মতো কিংবা প্রেমের মতো।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সময়ে এসে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতা লেখার প্রয়াসের সবচেয়ে বড় বিপদটি হতে পারে, হতে পারত, ব্যক্তি স্তুতি কিংবা একপাক্ষিক মূল্যায়নের খসড়া। কিন্তু সেসব পথে হাঁটেনি কবি সাকিরা পারভীনের লেখনী। সে একটা গীতিকবিতার মতো, গাথার মতো, কখনো মনে হয়েছে আমাদের পুঁথি ঐতিহ্যের মতো বিশুদ্ধ কাব্য বয়ানেই রত। পরিমিতি বোধ আর পরিণতমনস্কতা কবি এবং তার কাব্য বয়ানকে কতটা ঋদ্ধতা দিতে পারে, তার নমুনা হতে পারে ‘তুমি সেই অভিজ্ঞান’।
এমন তো প্রথম পাঠেই উপলব্ধি করেছি যে, এ কাব্যের কোথাও এক বিন্দু মেদ নেই, কোথাও বাড়তি কথন নেই, অতি আবেগে ভেসে যাওয়া নেই। তীব্র পরিমিতি বোধ, তীক্ষ প্রতীক—সংকেত—উপমার ব্যবহারের সঙ্গে একজন দেশনেত্রীর জীবন, ইতিহাসে তাঁর ভূমিকা ও অবস্থান উঠে এসেছে কাট আউটের মতো, কোলাজের মতো।
দালি কিংবা পিকাসোর চিত্রকর্মের মতো এই ক্ষুদ্র কাব্যগ্রন্থখানি আপাত সংগতি আর নিয়মকে ভেঙে দেয়। ক্ষুদ্র আকারই যেন এর মহত্ত্ব। জাপানি হাইকুর পরিমিতি বোধ আর ভারতীয় মহাকাব্যের বিস্তৃতি-এ দুই অসম্ভবের শক্তিশালী সংযোগ সাকিরা পারভীনের ‘তুমি সেই অভিজ্ঞান’। শুকুন্তলা অভিজ্ঞানের চেয়ে এই অভিজ্ঞান একই সঙ্গে সমকালীন শিকড়ের গভীরতা আর ধ্রুপদি ডানার উড্ডয়ন লাভ করবেÑএমন স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি নেই। অন্তত আমি স্বপ্ন দেখি, আকারে ক্ষুদ্র, প্রকার বৃহৎ এই কাব্যগ্রন্থ বাংলার জমিনে নতুন কোনো ফসলের ডাক দেবে।
একটা দীর্ঘ কবিতা, একটা দীর্ঘ ভাঙন, একটা দীর্ঘ নির্মাণ, একটা জাতির ইতিহাস, একজন মানুষ, একজন উত্তরাধিকার, একজন পূর্বপুরুষের গল্প, অথবা একটি কবিতাই রচনা করেছেন সাকিরা পারভীন। এই রচনা, এই কাব্যগাথা কোনো স্তুতি নয়, এটি কোনো রাজনৈতিক অভিভাষণ নয়, এই কাব্যগাথা একটি আত্মনিবেদন কিংবা প্রার্থনার মতো কিংবা প্রেমের মতো।
By সাকিরা পারভীন
Category: কবিতা
একটা দীর্ঘ কবিতা, একটা দীর্ঘ ভাঙন, একটা দীর্ঘ নির্মাণ, একটা জাতির ইতিহাস, একজন মানুষ, একজন উত্তরাধিকার, একজন পূর্বপুরুষের গল্প, অথবা একটি কবিতাই রচনা করেছেন সাকিরা পারভীন। এই রচনা, এই কাব্যগাথা কোনো স্তুতি নয়, এটি কোনো রাজনৈতিক অভিভাষণ নয়, এই কাব্যগাথা একটি আত্মনিবেদন কিংবা প্রার্থনার মতো কিংবা প্রেমের মতো।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সময়ে এসে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতা লেখার প্রয়াসের সবচেয়ে বড় বিপদটি হতে পারে, হতে পারত, ব্যক্তি স্তুতি কিংবা একপাক্ষিক মূল্যায়নের খসড়া। কিন্তু সেসব পথে হাঁটেনি কবি সাকিরা পারভীনের লেখনী। সে একটা গীতিকবিতার মতো, গাথার মতো, কখনো মনে হয়েছে আমাদের পুঁথি ঐতিহ্যের মতো বিশুদ্ধ কাব্য বয়ানেই রত। পরিমিতি বোধ আর পরিণতমনস্কতা কবি এবং তার কাব্য বয়ানকে কতটা ঋদ্ধতা দিতে পারে, তার নমুনা হতে পারে ‘তুমি সেই অভিজ্ঞান’।
এমন তো প্রথম পাঠেই উপলব্ধি করেছি যে, এ কাব্যের কোথাও এক বিন্দু মেদ নেই, কোথাও বাড়তি কথন নেই, অতি আবেগে ভেসে যাওয়া নেই। তীব্র পরিমিতি বোধ, তীক্ষ প্রতীক—সংকেত—উপমার ব্যবহারের সঙ্গে একজন দেশনেত্রীর জীবন, ইতিহাসে তাঁর ভূমিকা ও অবস্থান উঠে এসেছে কাট আউটের মতো, কোলাজের মতো।
দালি কিংবা পিকাসোর চিত্রকর্মের মতো এই ক্ষুদ্র কাব্যগ্রন্থখানি আপাত সংগতি আর নিয়মকে ভেঙে দেয়। ক্ষুদ্র আকারই যেন এর মহত্ত্ব। জাপানি হাইকুর পরিমিতি বোধ আর ভারতীয় মহাকাব্যের বিস্তৃতি-এ দুই অসম্ভবের শক্তিশালী সংযোগ সাকিরা পারভীনের ‘তুমি সেই অভিজ্ঞান’। শুকুন্তলা অভিজ্ঞানের চেয়ে এই অভিজ্ঞান একই সঙ্গে সমকালীন শিকড়ের গভীরতা আর ধ্রুপদি ডানার উড্ডয়ন লাভ করবেÑএমন স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি নেই। অন্তত আমি স্বপ্ন দেখি, আকারে ক্ষুদ্র, প্রকার বৃহৎ এই কাব্যগ্রন্থ বাংলার জমিনে নতুন কোনো ফসলের ডাক দেবে।